সিলেটবাসীর ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে অনেক-বাসা বাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। এতে অনেক স্থানে কোরবানি দিতে পারেননি স্থানীয়রা। ১৭ জুন সোমবার ঈদের দিন কোনো কোনো এলাকায় কোরবানি দেয়া সম্ভব না হওয়ায় মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার তিনটি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।জানা যায়, নগরীর সোবাহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রা, সুবিদবাজার বনকলাপাড়া, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদিঘিরপার, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, জামতলা ও তালতলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।

উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারীনদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে বইছে। তলিয়ে আছে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার রাস্তাঘাট। জেলা সদরের সাথে উপজেলাগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তবে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিটি করপোরেশন সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

ঈদের দিনের অতি বৃষ্টি সিলেটবাসীর জীবনে বিষাদ বয়ে এনেছে। এমন বিষাদের ঈদ চান না সিলেটবাসী।